Skip to main content

যদি কোনো দোকানদার কোনো পণ্যের MRP (Maximum Retail Price) এর চেয়ে বেশি দাম নেয়,


যদি কোনো দোকানদার কোনো পণ্যের MRP (Maximum Retail Price) এর চেয়ে বেশি দাম নেয়, তবে এটি ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। এই

ক্ষেত্রে আপনি নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন:

১. প্রথমে দোকানদারকে জানান

  • দোকানদারকে পরিষ্কারভাবে বলুন যে তারা আইন অনুযায়ী MRP এর চেয়ে বেশি দাম নিতে পারে না। বেশিরভাগ সময় দোকানদার সরাসরি সমস্যাটি সমাধান করে দেয়।

২. রসিদ সংগ্রহ করুন

  • যদি দোকানদার অতিরিক্ত দাম নেয়ার পরেও তা ঠিক করতে রাজি না হয়, তাহলে অবশ্যই কেনাকাটার রসিদ সংগ্রহ করুন। এটি পরবর্তী সময়ে অভিযোগ করার জন্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।


৩. ভোক্তা আদালতে অভিযোগ জানান

  • ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৯ অনুযায়ী, আপনি ভোক্তা আদালতে অভিযোগ জানাতে পারেন।
  • স্থানীয় জেলা ভোক্তা ফোরামে অভিযোগ জানাতে পারেন।
  • অনলাইনে অভিযোগ জানানোর জন্য National Consumer Helpline (NCH) বা ‘1915’ নম্বরে কল করতে পারেন।

৪. অনলাইনে অভিযোগ

  • আপনি ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গ্রিভেন্স পোর্টালে (https://consumerhelpline.gov.in) অভিযোগ করতে পারেন।
  • এছাড়া, Email: consumerhelpline@nic.in এ যোগাযোগ করতে পারেন।

৫. জরিমানা এবং শাস্তি

  • আইন অনুযায়ী, MRP এর চেয়ে বেশি দাম নেয়ার জন্য দোকানদারকে জরিমানা বা শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে।

ভোক্তা হিসাবে সচেতন থাকুন


সবসময় কেনাকাটার সময় পণ্যের MRP যাচাই করুন এবং রসিদ সংগ্রহ করতে ভুলবেন না। যদি কোনো দোকানদার নিয়ম লঙ্ঘন করে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবেন না।

Chatকোনো দোকানদার যদি কোনো পণ্যের MRP (Maximum Retail Price)-এর থেকে বেশি টাকা নেয়, তাহলে এটি আইনি অপরাধ

১. দোকানদারের সঙ্গে কথা বলুন:

  • প্রথমে দোকানদারকে MRP-এর নিয়ম বোঝান। অনেক সময় তারা ভুলবশত বেশি দামে বিক্রি করতে পারে।
  • তাকে মনে করিয়ে দিন যে MRP হল সেই পণ্যের সর্বোচ্চ দাম এবং এর বেশি নেওয়া আইনত নিষিদ্ধ।

২. পাকা রসিদ চেয়ে নিন:

  • কেনার পরে দোকানদারের কাছ থেকে রসিদ নিন, যেখানে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এটি পরবর্তী আইনি পদক্ষেপে সহায়তা করবে।

৩. ভোক্তা অধিকার কেন্দ্রে অভিযোগ জানান:

আপনি নিচের উপায়ে অভিযোগ জানাতে পারেন:

  • ভোক্তা সেবা হেল্পলাইন নম্বরে: 1915
  • অনলাইনে National Consumer Helpline (NCH) এ অভিযোগ জানান।
  • রাজ্যের ভোক্তা আদালতে অভিযোগ দায়ের করুন।

৪. পণ্য সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করুন:

যদি পণ্যটি বিশেষ কোনো বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় (যেমন খাদ্যপণ্য বা ওষুধ), তাহলে সেই বিভাগের স্থানীয় অফিসে অভিযোগ জানাতে পারেন।

৫. প্রমাণ সংগ্রহ করুন:

  • অতিরিক্ত দাম নেওয়ার রসিদ সংরক্ষণ করুন।
  • দোকানের নাম, ঠিকানা এবং তারিখ সংরক্ষণ করুন।

৬. দোকানদারকে সতর্ক করুন:

তাকে জানান যে আপনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন। অনেক সময় এ কথায় দোকানদার অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়।

আপনার ভোক্তা অধিকার রক্ষার জন্য ভোক্তা সুরক্ষা আইন, ২০১৯ আপনার পক্ষে রয়েছে। অতএব, নির্ভয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

Popular posts from this blog

সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে | এক পেজে সব কিছু!

🛡️ Black Force 007 – সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে | 📅 প্রকাশের তারিখ: ২০২৫ 🔥 আপনার হাতে একটাই লিংক, আর তাতেই সব! Black Force 007 শুধু একটি নাম নয় এটা একটা আন্দোলন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা, সত্যকে সামনে আনা এবং সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার এক প্ল্যাটফর্ম। এখন থেকে যোগাযোগের মাধ্যম, ভিডিও, পোস্ট, এবং AI সাপোর্ট সব কিছু আপনি পাবেন এক পেজেই! 📲 আমাদের সমস্ত লিংক এক জায়গায় : 🔴  YouTube Channel: Black force 007 Voice of Truth 🔵 Twitter :  🔗 আপডেট পেতে ফলো করুন: 📘  Facebook Page: 🔗 Black Force 007 Official Page 👥 Facebook Group: 🔗 Black Force 007 Community Group 🟢  WhatsApp Channel: 🔗 Join Our WhatsApp Broadcast Channel 📸 Instagram : 📍 Updates coming to IG soon. Join Whatsapp Group Join Whatsapp Group 🙋  AI Legal Assistant (AI Bot): 🔗 Blackforce007 AI  ✅ Complaint Form (অনলাইন অভিযোগ জমা দিন): 🔗 আমাদের সাইটেই “Submit Complaint” ফর্ম আছে। 💸   Donation/Support via UPI: 📲 9163207300-1@okbizaxis আপনার ছোট সহায়তাও আমাদের মিশনকে শক্তি...

নতুন Waqf Bill, আইন ২০২৫: মুসলিম সম্পত্তির ভবিষ্যৎ কি সঙ্কটে? New waqf bill, Act 2025: Is the future of Muslim property in crisis?

ওয়াকফ (Waqf) আইন ১৯৯৫ ও সংশোধনী বিল ২০১৩: একটি বিশ্লেষণ ভূমিকা ইসলাম ধর্মে ওয়াকফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথা। ওয়াকফ এমন একটি দান, যা সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা হয় এবং তার আয় সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, দরিদ্রদের সহায়তা, পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই তহবিলের অবদান অনেক। ভারতে মুসলমানদের ওয়াকফ বিষয়ক কাজ পরিচালনার জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রয়োজন ছিল, যার ফলস্বরূপ ১৯৯৫ সালে প্রণীত হয় Waqf Act। পরে ২০১৩ সালে এটি আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে সংশোধন আনা হয়। ওয়াকফ আইন ১৯৯৫: মূল বিষয়বস্তু ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন মুসলিম ধর্মীয় সম্পত্তির সুরক্ষা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত হয়। এই আইনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে: ১. ওয়াকফ বোর্ড গঠন প্রতিটি রাজ্যে একটি করে ওয়াকফ বোর্ড গঠন বাধ্যতামূলক করা হয়। এই বোর্ডে ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, সরকারি প্রতিনিধি এবং সমাজের অন্যান্য শ্রেণির প্রতিনিধিরা থাকেন, যারা যৌথভাবে ওয়াকফ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশাসন পরিচালনা করেন। ২. ওয়াকফ সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন ও অদলবদলের নিষেধাজ্ঞা সব ওয়...

চোর ধরার কৌশল: সচেতনতা, আইনি পথ এবং প্রতিরোধের সহজ উপায়

চুরি কেবল সম্পত্তির ক্ষতি নয়, এটি আমাদের নিরাপত্তা এবং আস্থার উপর আঘাত। আজকের দুনিয়ায় চুরির ঘটনা বাড়ছে, কিন্তু সঠিক সচেতনতা এবং আইনি পদক্ষেপ নিলে আমরা এটিকে রোধ করতে পারি। এই আর্টিকেলে আমরা চোর ধরার কার্যকর কৌশল, আইনি প্রক্রিয়া এবং প্রতিরোধের টিপস নিয়ে আলোচনা করবো। সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনি কীভাবে নিজেকে এবং সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন, তা শিখুন এবং অন্যদের জাগ্রত করুন। চলুন শুরু করি!